সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বাংলা কবিতার জন্য - প্রভাত চৌধুরী

বাংলা কবিতার জন্য

যারা চোখের জল ফেলেন, কুমিরের চোখের জলের সঙ্গে
তার কোন মিল নেই, চোখর জলতবু কেন যে
লেখা হলেই উঠে আসে কুম্ভিরাশ্রু তার সমাধান গুগুলও জানে না

আমি নিজেও কোনদিন বাংলা কবিতার জন্য অশ্রু বিসর্জন করিনি
শরীরের জল বা ঘাম ঝরিয়েছি কয়েক গ্যালন
তার জন্য বাংলা কবিতার কত মিলিমিটার আপডেট হয়েছে
তা জানার জন্য আরো কয়েক দশক অপেক্ষা করতে হবে

যাঁরা অপেক্ষা করতে রাজি হবেন না, তাঁরা পথপ্রদর্শকের
নির্দেশের জন্য সজাগ থাকুন
ডোর বেলটি ঠিকঠাক কাজ কছে কিনা সে সম্পর্কে অবহিত থাকুন
কাকে কান নিয়ে গেল শুনলে
কাকের পেছনে না ছুটে নিজের কানের পাশে হাত নিয়ে যান

এই লেখাটিতে প্রথমে কুমির, পরে কাক
একটি সরীসৃপ এবং একটি পাখি এসে গেল

পরের কবিতায় জলচর, লালতিমি আসার কি কোন সম্ভাবনা
দেখা যাচ্ছে

২.১০.২০১১
দুপুর ৩ টে ১৪ মি.

মন্তব্যসমূহ

  1. বাঃ... গভীর অনুভবের কবিতা, এবং দিকনির্দেশক ।
    বাংলা কবিতা শুধু নয়, ভারতীয় সাহিত্য আপনার অবদান কোনোদিনই ভুলবে না। আপনি তো শুধুই কবি নন, সাহিত্যিক তথা কবিদের অভিভাবক।

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনার মতামত কবিকে পৌছে দেওয়ার চেষ্টা করবে 'বাংলা সাহিত্য'; এই মতামত 'বাংলা সাহিত্য' মূল্যবান সম্পদ মনে করে। মতামতের জন্য ধন্যবাদ।

      মুছুন
  2. আপনার কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক হওয়ার চেষ্টা করছি।

    উত্তরমুছুন
  3. প্রভাভ চৌধুরী একটা বটবৃক্ষের নাম,আমরা সেই বৃক্ষে কবিতার সাথে বিশ্রাম করি।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন

বিভীষণ মিত্রের কবিতা

বিভীষণ মিত্রের কবিতা পুনর্জন্ম বিভীষণ মিত্র আর একবার যদি জন্মাতে পারি, নতুন করে ভালবাসবো তোমাকে। বিভক্ত পথ ছেড়ে আবার চলব একই পথে, যদি তুমি ফিরে আসো ভুল গুলো ভুলে, আকাশের ওপার থেকে মেঘ ছুঁয়ে বৃষ্টি নামাব। জোনাকির ক্ষুদ্র আলো থেকে চাঁদের বৃহৎ জ্যোৎস্না নামাব। নবজাতকের মত পাপশূন্য হয়ে - তোমার মুক্ত হাতে-হাত রাখব। আর একবার যদি জন্মাতে পারি, তোমায় ভালবেসে বাঁচার মত বাঁচব। মোহনা হয়ে নদী,নদী হয়ে সাগর নামাব। সাগরের সুনীল জলরাশি হয়ে তোমার নগ্ন পা ছোঁব। সেই সিক্ত পায়ের শিহরণে- তোমার শিরা-উপশিরায় জানাবো আমার ভালবাসার কথা। যদি ভালবাসি এ কথা বল আমাকে ভুল করে, পরজনমে কৃতদাস হব তোমার ভালবাসার ছায়া তলে।