সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

তৈমুর খান লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তৈমুর খানের কবিতা

তৈমুর খানের কবিতা চিহ্ন একটা খেজুর গাছ দাঁড়িয়ে আছে বিকেল এসে বসেছে মাথায় সেদিকেই চেয়ে আছি আমি ক্রুশবিদ্ধ যিশু অদৃশ্য ছায়ার ক্রুশকাঠে বধ্যভূমিতে আটকে আছি নন্দিনীদের কাজললতা চোখে একফোঁটা অশ্রু নেই করুণার বাক্স ফাঁকা সহানুভূতির বাক্যে কোনও বই লেখা হয়নি আজও বিকেল নেমেছে রাত্রির নরম মাংসের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে রোদের শৃগাল আমার রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে মাটিতে আর এক একটা চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে সভ্যতার যুদ্ধ জয় করতে পারি নাকো ঘর-উঠোনে মা-বাবার দীর্ঘশ্বাস চলাফেরা করে আমাকে দেখে যায় যুদ্ধ করতে পারি নাকো আর তবু যুদ্ধক্ষেত্রেই থাকি আমার হাতে এখনও চকচক করে বাবার তলোয়ার তলোয়ার আসলে এক সহিষ্ণু বিস্ময় সংকটের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করা অথবা আকাশের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যত ইচ্ছা নিজেকে প্রসারিত করা দুয়ারে ঝাঁটা হাতে মায়ের সকাল নিহত বসন্তকালে নিশ্চুপ কোকিল এখনও অমৃতের সন্ধান করে আমি ঝড় , দুর্বার সংযোগে বেরিয়ে পড়ি প্রতিটি সকালে ফিরে...

তৈমুর খানের দুটি কবিতা

১ দুর্ভিক্ষের কৃষক কবিতারা সব উড়ে যাচ্ছে অদৃশ্য পালকে আমি বাড়ি ফিরতে পারছি না সূর্য ডুবলে অন্ধকার নেমে এসে বসছে ঘাড়ে ফাঁকা মাঠ, কিশোরী সবজি ক্ষেত শহরের ছাদে উঠে শিস দিচ্ছে তারও ফুল ফুটছে, চুম্বন পাঠাচ্ছে বাতাসে আমার হা-হুতাশ ভরা গোধূলি সিঁদুর মুছে বিধবার পোশাকে মেঘ জড়িয়ে চলে যাচ্ছে অন্ধকারে আমি একা শস্যহীন দুর্ভিক্ষের কৃষক খাতা ও কলম ফেলে নৈঃশব্দ্যের কাছে রেখে যাই শব্দবীজ আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২ হারানো কোনও স্বরলিপি হাওয়া আনছে চুলের গন্ধ এই নিশিপুর নূপুর পরে তুলছে আবার নাচের ছন্দ মেঘ-বৃষ্টির বার্তা উড়ছে অন্ধকারে চুম্বন ছুঁড়ছে আলোর কাছে আজকে অন্ধ পরশখানি লাগছে এসে হারানো কোনও স্বরলিপি হৃদয় গলছে অস্থিরতায় কী নাম ওর? অনেক নামেই ব্ল্যাকবোর্ডে ছবি ফুটছে ফুল ফোটাচ্ছে অপরাজিতা উড়ছে আঁচল, ঝড়ের পাখি ডানা ঝাপটায় সন্ধিক্ষণে মুগ্ধ বালক চেয়ে থাকি উদাসীন হাওয়ার কাছে কষ্টগুলি বাক্যহীন