সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

তৈমুর খানের দুটি কবিতা



দুর্ভিক্ষের কৃষক

কবিতারা সব উড়ে যাচ্ছে অদৃশ্য পালকে

আমি বাড়ি ফিরতে পারছি না
সূর্য ডুবলে অন্ধকার নেমে এসে বসছে ঘাড়ে

ফাঁকা মাঠ, কিশোরী সবজি ক্ষেত শহরের ছাদে
উঠে শিস দিচ্ছে
তারও ফুল ফুটছে,
চুম্বন পাঠাচ্ছে বাতাসে


আমার হা-হুতাশ ভরা গোধূলি
সিঁদুর মুছে বিধবার পোশাকে
মেঘ জড়িয়ে চলে যাচ্ছে অন্ধকারে

আমি একা শস্যহীন দুর্ভিক্ষের কৃষক
খাতা ও কলম ফেলে নৈঃশব্দ্যের কাছে
রেখে যাই শব্দবীজ



হারানো কোনও স্বরলিপি


হাওয়া আনছে চুলের গন্ধ
এই নিশিপুর নূপুর পরে
তুলছে আবার নাচের ছন্দ

মেঘ-বৃষ্টির বার্তা উড়ছে
অন্ধকারে চুম্বন ছুঁড়ছে
আলোর কাছে আজকে অন্ধ

পরশখানি লাগছে এসে
হারানো কোনও স্বরলিপি
হৃদয় গলছে অস্থিরতায়

কী নাম ওর? অনেক নামেই
ব্ল্যাকবোর্ডে ছবি ফুটছে
ফুল ফোটাচ্ছে অপরাজিতা

উড়ছে আঁচল, ঝড়ের পাখি
ডানা ঝাপটায় সন্ধিক্ষণে
মুগ্ধ বালক চেয়ে থাকি উদাসীন

হাওয়ার কাছে কষ্টগুলি বাক্যহীন

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

প্রভাত চৌধুরীর দুটি কবিতা

১. বালিশ বালিশ দু-রকমের, একটা মাথার, অন্যটি কোলের কোলেরটিকে কেউ কেউ পাশের বলে থাকে তবে দু-ধরণের বালিশ-ই কিন্তু শিমুলতুলো নির্মিত মাথার বালিশের চারটি কোণ আছে কোণ চারটি ৯০ডিগ্রি অর্থাৎ একসমকোণ এর থেকে একটি কথা-ই প্রমাণিত হয় : প্রতিটি সমকোণ-ই ব্যবহার করে একই স্টাইলের টুপি স্টাইল এক হলেও কিন্তু রং আলাদা আলাদা সেসব রং-কথা এখন থাক এখন অপেক্ষা করি ছাতার জন্য বালিশও অপেক্ষা করুক ছাতার জন্য সামনে বর্ষাকাল আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২. চাদর বিছানার জন্য বেড-শিট এবং বেড-কভার দু-প্রকার চাদরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে এদের মধ্যে বেড-কভার কিছুটা মোটা এবং বড়ও আর নরম, কিছুটা মাখনের মতো বেড-শিট এর জন্য় দু-জনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই দুজনেরই নিজ্স্ব আইডি আছে আই প্যাড আছে আছে ময়ুরপালক

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন