সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জন্মেঞ্জয় ঘোড়াই

ফেসবুক গ্রুপ থেকে লিখছেন। জন্মেঞ্জয় ঘোড়াই আমি_শতাব্দীর_পালক আমি শতাব্দীর খোঁপায় বহু অপমান বা সম্মান নিয়ে আজ-- শরীর সর্বস্ব হয়ে এসেছি কোটি অন্ধকার জোনাকির শবদেহে , বাঁচতে চাই -- একবার নয় শেষবার , ত্রিকোণ ব্রহ্মাণ্ডে বিবেকের কম্বলে আরশির দেওয়ালে পচা দুর্গন্ধকে আড়াল করে হাঁটতে চাই --- শান্তি শয্যার মেঘলোকে , স্মৃতির পাতালে সরে যাক , নির্মম ঝুল কাঁটাতারের আত্মময় পাতাল প্রোথিত নিষ্ঠুর শল্যপাত । যৌবনের চৌকাঠ ছুঁয়ে -- অনটন অন্যায় পল্টন ফসলের বন্যায় ব্রহ্ম সংগীতের সুর বাজাই পূর্ণ চাঁদের চোখে চিহ্নহীন পৃথিবীর অপরাহ্নের শান্ত ফেরিঘাটে । আমি শতাব্দীর পালক বলছি আমার সূচনার স্পর্ধায় আকাশের নীল গালের স্বচ্ছ অনুভবকে সূচিশিল্পের ঠোঁটে শান্তির বিছানার দখিনা হাওয়ায় অমৃতের সন্ধান দিতে চাই । আমার ঊনিশটি বাহু দিয়ে কলঙ্ক মুছে দিতে চাই মানব জমিন নির্মাণের স্বপ্নে , সুদীর্ঘ তুলির বিক্ষিপ্ত টানে দুঃখের অঙ্কুরকে আর বিদ্রুপের সিংহদারকে লুন্ঠন করে শতাব্দীর শরীরে নীরব নিভৃত দহনে বিনি সুতোয় গাঁথা অসংখ্য সম্পর্ক গড়তে চাই -- কলির ডাকবাক্সের সুদৃঢ় বিশ্বাসে ।

প্রভাত চৌধুরীর দুটি কবিতা

১. বালিশ বালিশ দু-রকমের, একটা মাথার, অন্যটি কোলের কোলেরটিকে কেউ কেউ পাশের বলে থাকে তবে দু-ধরণের বালিশ-ই কিন্তু শিমুলতুলো নির্মিত মাথার বালিশের চারটি কোণ আছে কোণ চারটি ৯০ডিগ্রি অর্থাৎ একসমকোণ এর থেকে একটি কথা-ই প্রমাণিত হয় : প্রতিটি সমকোণ-ই ব্যবহার করে একই স্টাইলের টুপি স্টাইল এক হলেও কিন্তু রং আলাদা আলাদা সেসব রং-কথা এখন থাক এখন অপেক্ষা করি ছাতার জন্য বালিশও অপেক্ষা করুক ছাতার জন্য সামনে বর্ষাকাল আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২. চাদর বিছানার জন্য বেড-শিট এবং বেড-কভার দু-প্রকার চাদরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে এদের মধ্যে বেড-কভার কিছুটা মোটা এবং বড়ও আর নরম, কিছুটা মাখনের মতো বেড-শিট এর জন্য় দু-জনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই দুজনেরই নিজ্স্ব আইডি আছে আই প্যাড আছে আছে ময়ুরপালক

তৈমুর খানের দুটি কবিতা

১ দুর্ভিক্ষের কৃষক কবিতারা সব উড়ে যাচ্ছে অদৃশ্য পালকে আমি বাড়ি ফিরতে পারছি না সূর্য ডুবলে অন্ধকার নেমে এসে বসছে ঘাড়ে ফাঁকা মাঠ, কিশোরী সবজি ক্ষেত শহরের ছাদে উঠে শিস দিচ্ছে তারও ফুল ফুটছে, চুম্বন পাঠাচ্ছে বাতাসে আমার হা-হুতাশ ভরা গোধূলি সিঁদুর মুছে বিধবার পোশাকে মেঘ জড়িয়ে চলে যাচ্ছে অন্ধকারে আমি একা শস্যহীন দুর্ভিক্ষের কৃষক খাতা ও কলম ফেলে নৈঃশব্দ্যের কাছে রেখে যাই শব্দবীজ আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২ হারানো কোনও স্বরলিপি হাওয়া আনছে চুলের গন্ধ এই নিশিপুর নূপুর পরে তুলছে আবার নাচের ছন্দ মেঘ-বৃষ্টির বার্তা উড়ছে অন্ধকারে চুম্বন ছুঁড়ছে আলোর কাছে আজকে অন্ধ পরশখানি লাগছে এসে হারানো কোনও স্বরলিপি হৃদয় গলছে অস্থিরতায় কী নাম ওর? অনেক নামেই ব্ল্যাকবোর্ডে ছবি ফুটছে ফুল ফোটাচ্ছে অপরাজিতা উড়ছে আঁচল, ঝড়ের পাখি ডানা ঝাপটায় সন্ধিক্ষণে মুগ্ধ বালক চেয়ে থাকি উদাসীন হাওয়ার কাছে কষ্টগুলি বাক্যহীন

কেন

বিভাস সাহা ভাঙনের দ্বীপে জোছনা সমীপে কে ভাসালো শাম্পান বুক ভরা এত বেদনা সমবেত কার দেওয়া অভিমান কেন কাঁদো নিকো বৃষ্টি অনধিক শ্রাবণের সমাপাত বৃথা অনুরাগে অধর সোহাগে শুয়ে থাকে একা রাত পোড়া গোধূলিতে শোকগাথা নিতে এসেছিল কথকেরা একা লাগা দিনে ঢেউ চিনে চিনে বেহুলার বাড়ি ফেরা কেন বিষ ছুঁলে করুণ আঙুলে, কেন নিলে পর দায় শুধু খুঁজে মরা বানভাসি চরা আগুনের পরিখায় কেন মণিহারা মৃগনয়নারা ঘ্রাণহীন নাভিমূল মরা মাঝি জানে সাধের শাম্পানে সাথী ছিল শত ভুল। আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে

ভাঙতে ভাঙতে গড়া

মধুসূদন মুখার্জি এই পৃথিবীর সবকিছু আর কিছু নয় শুধু ভাঙাগড়া খেলা। সত্য ত্রেতা ও দ্বাপর ভেঙে আজ কলিতে ঠেকেছে শেষ হলে আবার শুরু হবে প্রথম থেকে সত্যের পথে। বাল্যকাল যৌবন প্রৌড় শেষ করে বার্ধ্যক্যে ভাবে এই তো কলি। পার করে দাও যেমন তেমন আবার তো সত্যের শুরুতে। তুমি আমি আমরা সবাই চলি একই পথে মাঝখানে পথ বহুদূর চলে সাথে সাথে অজানা অচেনা অভিযানে আমরা সবাই চলি কত যানে। ক্লান্ত পথিক্ কতো পড়ে থাকে পিছে। কেউবা মাটির সাথে মিশে যায় বহুদিন রাস্তায় পড়ে থাকা গাড়ীর মতো। গাড়ী ছুটে রাস্তায় মেঘ ভাসে আকাশে। সাত সমূদ্র তের নদী পার হয়ে বাতাসও আমাদের চলার সাথে মিশে যায় আশেপাশে। জীবন্ত পৃথিবীর বুক চিরে ভালবাসা জেগে থাকে প্রাত্যহিক্ রুটিনের মতো এর শুরু ও শেষ কবে জানে না কেউ।

সুখ-স্মৃতি

মিতা বিশ্বাস বসু পুরনো জামা-কাপড়ের ভাঁজে, স্বপ্নের গন্ধরা জড়িয়ে থাকে। ভাবি, অতীতের সুখ-স্মৃতির সাথে- খেলা, বোঝাপড়া করবো পারিনা! ন্যাপথলিনের গন্ধে হতাশ হই, পুরনো গন্ধরা এতে ম্লান হয়ে আসে- তবু, কতো আশা নিয়ে গন্ধকে আঁকড়ে বাঁচতে চায়, মন। বাকি জীবনটা কাটুক, খুশীতে-স্মৃতিতে। ---------- আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে

বসন্ত বিলাপ

সুজাউদ্দিন মণ্ডল বাপ্পা বসন্ত হারিয়ে বিষন্ন মনে, লম্বা বিকেল বোর হয়ে যাই। সাইলেন্স করা মোবাইলের ঝাকুনি। কেড়ে নেয় সব মনোযোগ। কাটবেতো চুল ছাঁটবেতো দাড়ি সারবেতো মনোরোগ ....। কে.... তুমি ! কেটে গেল ফোন । নিচে পড়ে আছে জড়ানো কাফন।

ভালোবাসা

মীর আল ইমরান "কিচ্ছু চাইনি আমি আজীবন ভালোবাসা ছাড়া" আজও আমি খুঁজে মরি আমার সেই ভালোবাসা। ছিনিমিনি খেলে গেছে কত শত লোকে এসে আমিও নিজেকে সযত্নে দিয়েছি সাজিয়ে। দুর্বল হয়ে গেছি, মন গেছো তুমি ছুয়ে কিন্তু জানি তুমি যে অনেকটাই দামী বৃথা চেষ্টা আমার, এই মনটা যাবে আবারও পুড়ে। তোমার কাছে হয়ত সময় কাটানোর সঙ্গী টুকুই খালি তবুও চেয়ে থাকি, সেই দিকে, সেই পথের দিকে এলোকেশী যদি হেসে একবার আসে আমার হয়ে। মায়াবিনী যদি আসে, গ্রীষ্মের প্রথম বৃষ্টি হয়ে। কল্পনায় আসলে় ঢেয়ে চলি মরীচিকার পানে। লক্ষীটি তুমি, ভালোবাসা না দিতে পারো গহীন আঁধার এই মনে জ্বালিও নাকো আলো। "ভাল নেই, তবুও তুমি ভালো থেকো আকাশের ঠিকানায় তুমিও নাহয় চিঠি লিখো।

হারনো ভোরের স্মৃতি

গৌতম কুমার দিনের পর দিন আসে নতুন রবি পোড়ামন নিয়ে আসে না আর কবি। আনন্দ উৎসব হারিয়ে..... কাজকর্মের ফাঁকে পড়ে থাকে জীবন। কাজ বাদ দিয়ে যদি আনন্দকে ফিরে পেতাম তবেই কত শৈশবকে অনায়াসে ফিরে পেতাম রাত পোহালেই ডালা কেটে, মাঠে পুঁতে, বিচালি বিছিয়ে আগুন জ্বালানো কে ফিরে পেতাম! বিধ্বস্ত আগুনের ছ্যাঁকা আর লাগে না গায়ে কুয়াশা মাখা পরিবেশে,চাদর জড়ানো গায়ে আর হয়তো ঊষার শীতোষ্ণ ছোঁয়া পাই না, তবুও, অতীত খুঁজি ব্ল্যাকেন্টর নরম ছোঁয়ায়। কিন্তু পাই না আর হারানো আনন্দের স্মৃতি।

মহামানব

শুভজিত দত্ত স্মৃতির পাতায় লেখা আছে অনন্য এক নাম প্রতিবাদী কন্ঠস্মরে যাকে যায় চেনা মৃত্যু ভয় ছিল না যার সে এক মহামনাব কালে কালে যাকে নিয়ে চলে উন্মাদনা যার উদ্দেশ্যে হয় রচিত যত হাজারো গল্প কবিতা সব পিছু টান দূরে ঠেলে ছিনিয়ে আনলে স্বদেশ দেশের জন্য বিলিয়ে প্রাণ আছো সবার মনে খোকা নামে বাল্য কালে তুমি পরিচিত যুগ শ্রেষ্ঠ ভাষনে তাই তুমি সবার সেরা এক ডাকে তাই সব ফেলে যুদ্ধে ছুটে যওয়া হাজারো বাঁধা জয় করে স্বাধীন করলে স্বদেশ বঙ্গ বন্ধু তুমি যে সবার কাছের মানুষ বিপদ দেখে ছুটে যেতে ছিল না অহংকার অসম্প্রদায়িকতায় গড়লে তুমি সোণায় মোড়া সদ্বেশ