সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জন্মেঞ্জয় ঘোড়াই

ফেসবুক গ্রুপ থেকে লিখছেন। জন্মেঞ্জয় ঘোড়াই

আমি_শতাব্দীর_পালক

আমি শতাব্দীর খোঁপায় বহু অপমান বা সম্মান নিয়ে আজ-- শরীর সর্বস্ব হয়ে এসেছি
কোটি অন্ধকার জোনাকির শবদেহে ,
বাঁচতে চাই -- একবার নয় শেষবার ,
ত্রিকোণ ব্রহ্মাণ্ডে বিবেকের কম্বলে
আরশির দেওয়ালে পচা দুর্গন্ধকে
আড়াল করে হাঁটতে চাই ---
শান্তি শয্যার মেঘলোকে ,
স্মৃতির পাতালে সরে যাক , নির্মম ঝুল কাঁটাতারের
আত্মময় পাতাল প্রোথিত নিষ্ঠুর শল্যপাত ।

যৌবনের চৌকাঠ ছুঁয়ে -- অনটন অন্যায় পল্টন ফসলের বন্যায়
ব্রহ্ম সংগীতের সুর বাজাই
পূর্ণ চাঁদের চোখে চিহ্নহীন পৃথিবীর অপরাহ্নের শান্ত ফেরিঘাটে ।

আমি শতাব্দীর পালক বলছি
আমার সূচনার স্পর্ধায় আকাশের নীল গালের স্বচ্ছ অনুভবকে
সূচিশিল্পের ঠোঁটে শান্তির বিছানার দখিনা হাওয়ায়
অমৃতের সন্ধান দিতে চাই ।

আমার ঊনিশটি বাহু দিয়ে কলঙ্ক মুছে দিতে চাই
মানব জমিন নির্মাণের স্বপ্নে ,
সুদীর্ঘ তুলির বিক্ষিপ্ত টানে দুঃখের অঙ্কুরকে
আর বিদ্রুপের সিংহদারকে লুন্ঠন করে
শতাব্দীর শরীরে নীরব নিভৃত দহনে
বিনি সুতোয় গাঁথা অসংখ্য সম্পর্ক গড়তে চাই
-- কলির ডাকবাক্সের সুদৃঢ় বিশ্বাসে ।

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

প্রভাত চৌধুরীর দুটি কবিতা

১. বালিশ বালিশ দু-রকমের, একটা মাথার, অন্যটি কোলের কোলেরটিকে কেউ কেউ পাশের বলে থাকে তবে দু-ধরণের বালিশ-ই কিন্তু শিমুলতুলো নির্মিত মাথার বালিশের চারটি কোণ আছে কোণ চারটি ৯০ডিগ্রি অর্থাৎ একসমকোণ এর থেকে একটি কথা-ই প্রমাণিত হয় : প্রতিটি সমকোণ-ই ব্যবহার করে একই স্টাইলের টুপি স্টাইল এক হলেও কিন্তু রং আলাদা আলাদা সেসব রং-কথা এখন থাক এখন অপেক্ষা করি ছাতার জন্য বালিশও অপেক্ষা করুক ছাতার জন্য সামনে বর্ষাকাল আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২. চাদর বিছানার জন্য বেড-শিট এবং বেড-কভার দু-প্রকার চাদরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে এদের মধ্যে বেড-কভার কিছুটা মোটা এবং বড়ও আর নরম, কিছুটা মাখনের মতো বেড-শিট এর জন্য় দু-জনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই দুজনেরই নিজ্স্ব আইডি আছে আই প্যাড আছে আছে ময়ুরপালক

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন