সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

গোবিন্দ তালুকদার

শ্রাবণের ধারার মতো এক একটা সকাল আসে তোমাকে ভীষন মনে পড়ে। ইচ্ছে করে তোমার হাতে কবিতা দিয়ে আসি, পাঠপ্রতিক্রিয়ার অভিলাষ । কুয়াশা ভিজিয়ে রাখে তোমার শরীর, কেশরাশি আলপথে এগিয়ে যাই আরো আরো সামনে খাড়ি জলে ভরা হাঁটুর ওপর কাপড় উঁচিয়ে পার হই...... সহজিয়া পথ- হিসেব না করেই এগিয়ে যাই-- বারান্দা থেকে জানালার গ্রিল দিয়ে দেখতে পাই তুমি আমারই কবিতায় সমর্পিতা ! আমার কবিতা তোমার বুকে, আলতো আদর তুলে নিচ্ছে অনাবিল স্রোতে । এতো ভালোবাসা কোনদিন বুঝিনি ! ফিরে এলাম ধীর পায়ে--- তোমাকে শ্রাবণের বর্ষা দিয়ে এলাম । --------------------

নীহার মোশারফ

ভেলকি তোমার অন্দরে স্বপ্নের বন্দরে উপাসনায় তীব্র উত্তর ফাগুন নগ্নতায় ভেলকি ঠেলে ঠেলে চোখের তারায় নাচে মঙ্গল গ্রহ কত রাত দেবতার প্রেমে কাটে এখন আমি কথার ধাঁধায় মগ্ন ভেতরে ভেতরে ঘেন্নার আগুন জ্বলে লক্ষীর শহর অচেনা লাগে যখন সরোবরে ভেসে ওঠে দ্রোহ দূরের মানুষ বজায় শঙ্খবীণা ----------------

নন্দিনী সঞ্চারী

নোনাজল গ্রেটা থুনবার্গ যেভাবে দেখায় বিশ্ব। কানাকড়ি নেই বাঁচার অধিকারে। মাটি খুঁজে খুঁজে হয়ে গেছি আমি নিঃস্ব। দলিল যা ছিল নিয়েছে দেবত্তরে। এদেশ ওদেশ বাপ পিতেম'র গর্ব। খেদিয়ে মানুষ কেউ খেয়ে গেছে মধু। আমার জন্য মাটি পরে নেই কোনও। হিম গলে গলে নোনাজল আছে শুধু।

পৌলমী সেন

১ আমি যদি ফুটফাট শব্দ করে ফুটতে পারতাম তাহলে ফুটছি। তুমি কি বলতে কি বলে বসো, আমি আর মাথা ঘামচ্ছি না। প্রেমে নয়া মোড় এল অরুন, বরুন, কিরণমালা! কে কখন কেমন হয়, তখন কে কি করতে পারে অত ভেবে কি হবে? ঘন জঙ্গলের মধ্যে তুমি দৌড়ে গেলে আমরাও পেছন পেছন যাবো। ‘ডেডিকেশান’ যেন শব্দ নয়, উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাইছে, আদিখ্যেতা! শোনো, তোমাকে মনের মতো বানিয়ে নেওয়ার খেলাটা শেষ হয়েছে! মনে পড়ছে যাকে সে তো আর আমার নিজের নয়। আস্পর্ধা, পাখিটা ঘরের মধ্যে চলে এসেছে। তুমি সঙ্গে নেই, পাশ ফিরে পাখিটাকে কাছে ডাকলাম। ভালো লাগা সিনেমার নায়ক হয়ে তোমাকে সাহায্য করেছিলাম। মোস্ট গরজিয়াস আর মোস্ট জেনারাস দুটোই নাকি আমি? যাকে ভালোবাসি না তাকে তুমি পাশে এনে রাখো। প্রত্যেক নারীই কি সঙ্গে একজন পুরুষ চায়? তখন বোধ হয় আমাকে দেখতে তোমার ভালো লাগে! তুমি হয়ত এবার এই যুবতী মেয়েটিকে একজন মহিলা বানাবে। যে স্বল্পবাক, দুঃখের সঙ্গে মানিয়ে নিতে জানে। যাকে নির্জনে একা বসিয়ে রেখে তুমি নিজেই নিজেকে বাহবা দেবে। যদি আমি এখন বলি ওই মানুষটি আসলে তুমি! তখন তোমার অবাক হয়ে যাওয়া আমার ভালো লাগবে। হঠাৎ ঘরের বাইরে বেরিয়ে তুমি এই শহরট

আবদুস শুকুর আলী মল্লিক

ধর্ম বিক্রি হয় ধর্ম বিক্রি হয় চড়া দামে মাঠে ঘাটে আর ময়দানে, শ্রোতারা কতটা বোঝে ? কোনটা কোন দামে------ আল্লাহই তা জানে । ঝাঁ চকচকে বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি চাকায় পিষ্ট হয় মানবতা -- গাঁটছড়া বাঁধে আজ পরিযায়ী পাখির দল উড়ে উড়ে খুঁটে খুঁটে , রসদ জমাতে ব্যস্ততা। স্বার্থের আবরণে সত্যের অপলাপ আভরণে সুসজ্জিত করে সংলাপ, বাচনভঙ্গি আর সুললিত কন্ঠ বক বকম-বক বকম---- শুনে যায় ছোলা দেওয়া পায়রার দল । বোবা রাত কাঁদে ,প্যান্ডেল রোশনাই শব্দ দূষণ হয়। ধার করা সংলাপে, বেনামে বেচা কেনা হয় মৃলধন প্রশংসা হাততালি , নোট আর ভোট পকেট গরম হয় ।দেঁতোহাসি হেসে ফেরে ঘরে । বোকার হুদো সব-গাঁটের খরচা করে বিতর্ক ডেকে আনে ।হিসাব মেলে না আর--- চীৎকার চেঁচামেচি-খাওয়া দাওয়া হৈ চৈ বদনাম ছাড়া কিছু পেয়েছে কে কবে ? নসিহত কাঁদে। শিশিরের টুপটাপ শব্দে হাই তোলে আগামী প্রজন্ম, -উঠে পড়ো হয়েছে সকাল-- ফজরের নামাজ নেই , নফল নিয়ে আজ টানাটানি। সবপাটি কিলবিল--- নমাজ পাটি শুধু কাঁদে, হা ভাতের ঘরে আজ ভাত নেই নিভানো উনুন দেখি পিতলায় শুধু পানি ফোটে । যাঁরা আজ সব জানে সব বোঝে তাঁরা কি সবই মানে ? তাঁরা ব

চন্দনকৃষ্ণ পাল

নাক গলানো বিষয়ক কথামালা আমার বিষন্ন দিন আমারই থাক তোমার গলানো নাক আমাকে বিপর্যস্ত করে- একথা জেনেও তুমি আগবাড়িয়ে আসো হাসো, আমাকে বিব্রত করো শেষ বিকেলে দাঁড়িয়েও পাল্টালেনা নিজ অবয়ব। শৈশব কৈশোরে তুমি তো মানুষই ছিলো একদম জ্যান্ত মানুষ। কি যাদু তোমাকে পাল্টালো কি মোহে উড়নচন্ডি হলে? ধারালো নাক নিয়ে চলাফেরা করো সুযোগ পেলেই গলাও যেখানে সেখানে একে তাকে বিব্রত করো! যন্ত্রের চাহিদাপত্র গেছে, চুক্তির খুব বাকী নেই এবার দেখবো কার নাক আজ কত ধার ধরে।

অরুণিমা মন্ডল দাস

হোলিখেলা সদ্য কাটা টমেটো র চাটনির কড়াই র লাল আবীর আঠারো তে পা দেওয়া মেয়েটির ব্রণ হাঁফানো আনন্দের মিলন হোলি আবাসিক পাকাবাড়ির প্লাস্টার রং করা দেহ মেয়েটি গাছের তলায় ঘুমিয়ে একরাশ স্বপ্ন কাদা পিচকারি প্লাবনে ভূমিকম্প কৃষ্ণের কোলে বিষধর কেউটে হিংস্র কুমীর আদরে কুপোকাত নম্র লজ্জাবতী সুদর্শন ঠাকুর দর্শন পাঁচটাকা দক্ষিণা প্রসাদে তেতো উচ্ছে নিরামিষ ঘন্টে চিংড়িমাছ টাটকা মন টাকা টাকা মাটি ভক্তি পঁচিশ পয়সাতেও সোনা খাঁটি প্রতিজ্ঞা মেহেন্দীকরা হাতে পরিয়ে দেওয়া আঁটি প্রতারক দেহে ছড়ানো রং পিচকারি বিশ্বাসঘাতক নয় অবাধ্য পাঞ্জা রং আর জলের খেলা মানানো ক্যারেন্টের সুইচবোর্ড তার যেখানেই গুঁজবে পাখা ফুল স্পিডে ঘুরবে