সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

আবদুস শুকুর আলী মল্লিক

ধর্ম বিক্রি হয়

ধর্ম বিক্রি হয় চড়া দামে
মাঠে ঘাটে আর ময়দানে,
শ্রোতারা কতটা বোঝে ?
কোনটা কোন দামে------
আল্লাহই তা জানে ।

ঝাঁ চকচকে বাড়ি, বিলাসবহুল গাড়ি
চাকায় পিষ্ট হয় মানবতা --
গাঁটছড়া বাঁধে আজ পরিযায়ী পাখির দল
উড়ে উড়ে খুঁটে খুঁটে ,
রসদ জমাতে ব্যস্ততা।

স্বার্থের আবরণে সত্যের অপলাপ
আভরণে সুসজ্জিত করে সংলাপ,
বাচনভঙ্গি আর সুললিত কন্ঠ
বক বকম-বক বকম----
শুনে যায় ছোলা দেওয়া পায়রার দল ।

বোবা রাত কাঁদে ,প্যান্ডেল রোশনাই
শব্দ দূষণ হয়। ধার করা সংলাপে,
বেনামে বেচা কেনা হয় মৃলধন
প্রশংসা হাততালি , নোট আর ভোট
পকেট গরম হয় ।দেঁতোহাসি হেসে ফেরে ঘরে ।

বোকার হুদো সব-গাঁটের খরচা করে
বিতর্ক ডেকে আনে ।হিসাব মেলে না আর---
চীৎকার চেঁচামেচি-খাওয়া দাওয়া হৈ চৈ
বদনাম ছাড়া কিছু পেয়েছে কে কবে ?

নসিহত কাঁদে। শিশিরের টুপটাপ শব্দে
হাই তোলে আগামী প্রজন্ম,
-উঠে পড়ো হয়েছে সকাল--
ফজরের নামাজ নেই ,
নফল নিয়ে আজ টানাটানি।

সবপাটি কিলবিল---
নমাজ পাটি শুধু কাঁদে,
হা ভাতের ঘরে আজ ভাত নেই
নিভানো উনুন দেখি
পিতলায় শুধু পানি ফোটে ।

যাঁরা আজ সব জানে সব বোঝে
তাঁরা কি সবই মানে ?
তাঁরা বলে-আমি যদি চোর হই
তুমি কেনো হবে না সাধু ?
পেটেতে আগুন ভরে , পানের মৌতাতে----
রঙিন কাঁচেতে দেখে রঙিন জীবন।

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

প্রভাত চৌধুরীর দুটি কবিতা

১. বালিশ বালিশ দু-রকমের, একটা মাথার, অন্যটি কোলের কোলেরটিকে কেউ কেউ পাশের বলে থাকে তবে দু-ধরণের বালিশ-ই কিন্তু শিমুলতুলো নির্মিত মাথার বালিশের চারটি কোণ আছে কোণ চারটি ৯০ডিগ্রি অর্থাৎ একসমকোণ এর থেকে একটি কথা-ই প্রমাণিত হয় : প্রতিটি সমকোণ-ই ব্যবহার করে একই স্টাইলের টুপি স্টাইল এক হলেও কিন্তু রং আলাদা আলাদা সেসব রং-কথা এখন থাক এখন অপেক্ষা করি ছাতার জন্য বালিশও অপেক্ষা করুক ছাতার জন্য সামনে বর্ষাকাল আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২. চাদর বিছানার জন্য বেড-শিট এবং বেড-কভার দু-প্রকার চাদরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে এদের মধ্যে বেড-কভার কিছুটা মোটা এবং বড়ও আর নরম, কিছুটা মাখনের মতো বেড-শিট এর জন্য় দু-জনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই দুজনেরই নিজ্স্ব আইডি আছে আই প্যাড আছে আছে ময়ুরপালক

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন