সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ সংখ্যা - ২০২৫ লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আনজু বানুর কবিতা : ভাবনার জলছবি

ভাবনার জলছবি আনজু বানু আনজু বানুর কবিতা : ভাবনার জলছবি একদিন খুলব ঠিক পালকের পাখা। নীল সাগরের দিকে উড়ে যাব দিকচিহ্ন হীন সীমানায় সমতল থাকবে জেগে সবুজের চাদরে ঢেকে। আমি উড়ে যাব পাহাড়ের মহিমা ছাড়িয়ে। ঊষার গোলাপি রঙে স্নান সেরে ভোর জাগবে সোনার পসরা নিয়ে। মাটির পৃথিবীতে দিন আসবে হাসি আর অশ্রু থরে থরে সাজিয়ে। হাঁসেরা জলের উপর খেলে যাবে কেলি জল ছিটিয়ে মগ্ন সোহাগে আকাশ তেমনি থাকবে মাটিকে ঘিরে। হতে পারে বসন্ত বায়ূ বয়ে যাবে নিঝুম দুপুরে। ফুলের কলিরা তখনও মাথা দোলাবে বাতাসের সাথে খুনসুটি করে। আকাশ মেঘলা হলে অর্ধেক ঘুম ঘোরে থাকবে এই অতি প্রাচীন পৃথিবী। পাখিরা দানার খোঁজে বহুদূরে উড়ে যাবে নিজস্ব ঠিকানা মনে রেখে। নরনারী আত্মমগ্ন হয়ে বুনে যাবে আগামীর বীজ। সৃষ্টির সব খেলা বজায় রেখে আমি চলে যাব মহাকাল থেকে আরো মহাকালের দিকে। ------xx------

Smritikana Maiti's poem Death's Solemnity

Death’s Solemnity Smritikana Maity Smritikana Maiti's poem Death's Solemnity The Earth was gnawing on her spirit, As she got sick by dance of death, too horrid ! She continued sitting on the dank Earth, Until cold bite of evening reminded her of cozy hearth. She, as sea, broke on shore of senses, Rose from the coffin of thoughts ! But the graveyard confining screams of rotting figures, Won't allow him to lift his head. Her eyes, bloated with tears, Like ocean-breast, swelling in tide. On her cheeks, chest, cloth - Dampness lingers, Like a leaf sweating, in fear of winter's shroud ! Wind blows murmuring, “He is Dead!” She heard the last bird's funeral line. With trembling hands, a wreath, she put on ground, Only for Death to suck its life and brutally shine. He left her alone in chamber of life's vitality ! Now, she must leave him behind in coffin of Death’s Solemnity !

মুস্তারী বেগমের কবিতা : আজ অন্য বসন্ত

আজ অন‍্য বসন্ত মুস্তারী বেগম মুস্তারী বেগমের কবিতা : আজ অন্য বসন্ত রক্তাক্ত হৃদয়ে আজ বসন্ত বসন্ত যেমন এসেছিলো শরৎচন্দ্রের গ্রামগুলোতে তার থেকেও ঘোর বসন্ত মনে। রক্তে স্নাত সব ইচ্ছেরা পলাশ,কিংশুক, শিমূল অবিকল রঙ ঢেলে গেছে গাঁ উজারের মতো ভালোবাসারা পালাচ্ছে  এবড়ো খেবড়ো জমির আলপথে। হৃদয়ের নালাপথ বেয়ে ফাগুন নামে, আমিও যাপন করেছি ফাগুন,আগুন জ্বেলে নাড়া বাঁধা পথে। মনের দেওয়াল জুড়ে শোকপালন করা লালফুলের যত গাছ। যত সোনালী পাতা। হাত পেতে আছে জীবন পাবে বলে জীবন পেলে তবেই তো রঙ? ---------xx---------

অদ্রিজা দাসের কবিতা :

অদ্রিজা দাসের কবিতা : ছায়ানীর অদ্রিজা দাসের কবিতা নীলাম্বরীর এক নিস্তব্ধ হলুদে নক্ষত্ররা ডাকে আয় হেসে রাখবে তারা প্রণয় দেশে তবু যায় না অবুঝ হৃদে। যা বলা হয় সত্য নয় মিথ্যার ছায়ায় ঢাকা এক রাশি আলোকে তাদের আঁধার নিস্তব্ধে রাখা। বনলতার বিনিতা অবুঝে কাঁদে পরে যেকাল পুষ্প তাহা হতে শোকে খসে পড়ে। ঘাসফুল চারু হারি' আকাশে চেয়ে রয় দূর হতে মেঘেরাও তারে বুঝি কয়- "শূন্য ছিলে হঠাৎ কালে ভাবলে অলীক কত পরে এমন আকাশ হলে শুধু শূন্য মতো। মনে হয় ধরবে ফুল একটু উপরে যেয়ে নাই তারা তো কেউই নাই শুধুই আছো চেয়ে। মনে হয় একটু হলেই ধরে নিবে তারে যতও যাও ততই দেখো সে যায় দূরে সরে।" এই যে এক ছায়ানীর, ছায়ায় মোরা ভাসি। মনের খেয়ালে অলীকেতে রাখি মিথ্যা আশি। আলোয় আলোয় ভরছে ভুবন এইযে নিশি রাতে উদাস কবি নদী তটে সুগন্ধা তার হাতে। -------xx------

মোহাম্মদ আজাদ হোসেনের কবিতা :

মোহাম্মদ আজাদ হোসেন দ্বি'ম ভালোবাসা মোহাম্মদ আজাদ হোসেন মায়ার আলোয় জাগে নবীন প্রভাত, শিশির কণায় মাখে স্নেহের প্রাণিপাত। মায়ের বুকে স্বপ্ন গাঁথে সোনার রথ, ভালোবাসা আঁকে জীবনের রঙিন পথ। বাতাসে গুঞ্জরিত আশার মধুর গান, মমতার পরশে মুছে যায় সব বেদনা প্রাণ। নদীর ধারা বয়ে চলে নিরবধি, স্নেহ-ছায়ায় আশ্রয় ক্লান্ত নিরবতি। আধাঁর রাতে জ্বলে জোনাকির আলো, আপনজনের হাসি মুছে দেয় দুঃখের কালো। বনভূমি জুড়ে ছড়ায় স্নেহের সুবাস, হৃদয়ের মিলনে গড়ে ওঠে সুখের বাস। মায়া, মমতা, ভালোবাসা - তিনে মিলে, আঁকে স্বপ্ন, হাসায় সবাইকে জীবনখিলে। -------xx-------

শুভজিৎ দাসের কবিতা : নগরায়ণ

নগরায়ণ শুভজিৎ দাস শুভজিৎ দাসের কবিতা : নগরায়ণ বেদনা তৃপ্ত ধূসর কলিজায় রাঙামাটির অল্প ছোঁয়া নবীন প্রেমিক, অবুঝ মন চায়না আমি এই স্নিগ্ধ মায়া , আমি হারাতে চাই সুদূর এক গাঁয়ে যেখানে থাকবে শুধু চন্দনের ঘ্রাণ,কদমের পাপড়ি বুনো ছাতিমের শীতল ছায়া।। যেখানে অম্রমুকুল ,বকুল-কুসুম ভরিয়ে রাখে মাটির কোল সাঁঝের আকাশে জোনাকি পোকা নিস্তব্ধে করে শোরগোল, নগরায়নের ঔষধ খেতে চায়না আর এই কোমল শরীর কারখানার তিমিরাচ্ছন্ন ধোঁয়া বিদীর্ণ করেছে হৃৎকোমল । কাঠবেড়ালি যেখানে সপেদা গাছে চোখ ঘুরিয়ে দেখায় ভয় সারস যেখানে দীঘির মাঝে মাছ ধরার অপেক্ষায় রয় , নগরায়নের ধূসর ধোঁয়ায় যে বিবর্ণ হয়েছে হৃদয় খানি আজ সবুজের এই প্রলেপ লাগিয়ে করবো তার প্রাণময় । পিপীলিকার শুকনো বাসায় চড়ুই পাখি ডাক দিয়ে যায় মহুল ফুলের মাদক গন্ধ পূবালী হাওয়ায় নাক দিয়ে যায় আকাঙ্খা যেখানে গগনস্পর্শী অবকাশ নেই বাক্সে ভরা রোজ সাঁঝেতে ফ্যাকাশে চাঁদ বাঁশের কঞ্চির ফাঁক দিয়ে যায়। নিস্তব্ধতার মধুর কন্ঠে যেখানে উদাসীনতা হারায় গান গোধূলি আকাশে উড়তে থাকে লাল চন্দনের মিষ্টি ঘ্রাণ, নগর থেকে বহুদূরে সাধ করে মন ...

সাবরিনা তাহ্সিনের কবিতা :

সাবরিনা তাহ্সিনের কবিতা : বিষে ভরা বাষ্প সাবরিনা তাহ্সিন - বিষে ভরা বাষ্প বাতাসের নিজস্ব কোনো রঙ নেই যদি থাকতো ,তবে হয়তো দৃষ্টিতে ধরা দিতো নর্দমায় জটপাকানো বায়ুর মিশেল। মুক্ত-নিঃশাসে ভরা নির্মল হাওয়ার সাক্ষাৎপ্রাপ্তি হওয়াটা যেন বড়ই কঠিন! নরম -কোমল মৃত্তিকাকে যখন চতুষ্কোণ ছাঁচে ইটভাটায় গলানো হয় , তখন নির্গত কালো ধূম্রজাল বাতাসের অস্তিত্বের সাথে মিশে যায়। ধূলি কণা কিংবা তার থেকেও ক্ষুদ্র জীবাণু ঘূর্ণী হাওয়ার পাক খেতে থাকে। শকট যান থেকে নিঃসরিত কার্বন কুন্ডলী যেন নিমেষেই মিলিয়ে যায় বাতাবরনের আবেশে। সিগারেট থেকে নিকোটিনের কালো ধোঁয়ার মতো বিষাক্ত ছোবল বায়ুপূর্ণ চারদিকের পরিমন্ডলকে করে তোলে দুর্বিষহ । বাতাসের প্রকৃতিতে একেক রকমফের কখনো বাতাসে থাকে উষ্ণতার নিবিড় পরশ, কখনও বা ছুটে চলা ট্রেনের গতিবেগে শো শো ধ্বন্যাত্মক ছন্দে , ধরা দেয় সমীরণের পূর্ণ অবয়ব । -------xx------