সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পৌলমী সেন


আমি যদি ফুটফাট শব্দ করে ফুটতে পারতাম তাহলে ফুটছি।
তুমি কি বলতে কি বলে বসো, আমি আর মাথা ঘামচ্ছি না।
প্রেমে নয়া মোড় এল অরুন, বরুন, কিরণমালা!
কে কখন কেমন হয়, তখন কে কি করতে পারে অত ভেবে কি হবে?
ঘন জঙ্গলের মধ্যে তুমি দৌড়ে গেলে আমরাও পেছন পেছন যাবো।
‘ডেডিকেশান’ যেন শব্দ নয়, উড়ে এসে জুড়ে বসতে চাইছে, আদিখ্যেতা!
শোনো, তোমাকে মনের মতো বানিয়ে নেওয়ার খেলাটা শেষ হয়েছে!

মনে পড়ছে যাকে সে তো আর আমার নিজের নয়।
আস্পর্ধা, পাখিটা ঘরের মধ্যে চলে এসেছে।
তুমি সঙ্গে নেই, পাশ ফিরে পাখিটাকে কাছে ডাকলাম।
ভালো লাগা সিনেমার নায়ক হয়ে তোমাকে সাহায্য করেছিলাম।
মোস্ট গরজিয়াস আর মোস্ট জেনারাস দুটোই নাকি আমি?

যাকে ভালোবাসি না তাকে তুমি পাশে এনে রাখো।
প্রত্যেক নারীই কি সঙ্গে একজন পুরুষ চায়?
তখন বোধ হয় আমাকে দেখতে তোমার ভালো লাগে!
তুমি হয়ত এবার এই যুবতী মেয়েটিকে একজন মহিলা বানাবে।
যে স্বল্পবাক, দুঃখের সঙ্গে মানিয়ে নিতে জানে।
যাকে নির্জনে একা বসিয়ে রেখে তুমি নিজেই নিজেকে বাহবা দেবে।
যদি আমি এখন বলি ওই মানুষটি আসলে তুমি!
তখন তোমার অবাক হয়ে যাওয়া আমার ভালো লাগবে।
হঠাৎ ঘরের বাইরে বেরিয়ে তুমি এই শহরটাকে দেখতে থাকবে
তখন আমি হাসবো, বলবো ও নারী, কেমন লাগছে এই নির্জনতা?
---------------------------



শিবানীর বায়োস্কোপে গাছ ও পাখি।
আমি দাঁড়কাক, কর্কশ কন্ঠস্বরে জাদু ছিল?
মনের মধ্যে একজন লোকের বসবাস!
শব্দে ও বাক্যে আড়মোড়া ভাঙছে।
প্রত্যেকেই চার্জড, সকালটা এবার দৌড়বে।

টুর্নামেন্ট খেলতে এসে প্রথম ম্যাচেই হেরে গেছি।
মুড়ি, নারকোল, ভিজে ছোলা আনা হয়েছিল।
এই লম্বা খেলার মাঠে ছক্কা কে চেয়েছিল?
নিজেরাই প্রতিদ্বন্দী বেছেছিলাম, এখন বোঝো!
সকাল এগারোটায় জলখাবার খেতে খেতে
কয়েকটা এঁদো ভুত অবাক চোখে সন্ধ্যে দেখছে।

‘এখানে ফটো তুলবেন না’ কে বলে গেল?
ব্রিজের ওপরে লোকটা সাইকেলে চলে যাচ্ছে।
পুরোনো জাহাজগুলোকে দেখে কেউ কি
ফেসবুকে কমেন্ট দেবে
হানিমুনে এই জাহাজটায় গিয়েছিলাম রে?
কাস্টমসের লোকেরা দিনরাত কাজ করে?
পুরোনো জামাকাপড় এনেছিলাম কেউ নেয়নি।
ফিরে যাচ্ছি, কম দামে দিলে হত।
কলেজের প্রেমিকাটিও দেখছি পিছু ছাড়ছে না!
-----------------

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

প্রভাত চৌধুরীর দুটি কবিতা

১. বালিশ বালিশ দু-রকমের, একটা মাথার, অন্যটি কোলের কোলেরটিকে কেউ কেউ পাশের বলে থাকে তবে দু-ধরণের বালিশ-ই কিন্তু শিমুলতুলো নির্মিত মাথার বালিশের চারটি কোণ আছে কোণ চারটি ৯০ডিগ্রি অর্থাৎ একসমকোণ এর থেকে একটি কথা-ই প্রমাণিত হয় : প্রতিটি সমকোণ-ই ব্যবহার করে একই স্টাইলের টুপি স্টাইল এক হলেও কিন্তু রং আলাদা আলাদা সেসব রং-কথা এখন থাক এখন অপেক্ষা করি ছাতার জন্য বালিশও অপেক্ষা করুক ছাতার জন্য সামনে বর্ষাকাল আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২. চাদর বিছানার জন্য বেড-শিট এবং বেড-কভার দু-প্রকার চাদরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে এদের মধ্যে বেড-কভার কিছুটা মোটা এবং বড়ও আর নরম, কিছুটা মাখনের মতো বেড-শিট এর জন্য় দু-জনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই দুজনেরই নিজ্স্ব আইডি আছে আই প্যাড আছে আছে ময়ুরপালক

শুভজিৎ দাসের কবিতা : নগরায়ণ

নগরায়ণ শুভজিৎ দাস শুভজিৎ দাসের কবিতা : নগরায়ণ বেদনা তৃপ্ত ধূসর কলিজায় রাঙামাটির অল্প ছোঁয়া নবীন প্রেমিক, অবুঝ মন চায়না আমি এই স্নিগ্ধ মায়া , আমি হারাতে চাই সুদূর এক গাঁয়ে যেখানে থাকবে শুধু চন্দনের ঘ্রাণ,কদমের পাপড়ি বুনো ছাতিমের শীতল ছায়া।। যেখানে অম্রমুকুল ,বকুল-কুসুম ভরিয়ে রাখে মাটির কোল সাঁঝের আকাশে জোনাকি পোকা নিস্তব্ধে করে শোরগোল, নগরায়নের ঔষধ খেতে চায়না আর এই কোমল শরীর কারখানার তিমিরাচ্ছন্ন ধোঁয়া বিদীর্ণ করেছে হৃৎকোমল । কাঠবেড়ালি যেখানে সপেদা গাছে চোখ ঘুরিয়ে দেখায় ভয় সারস যেখানে দীঘির মাঝে মাছ ধরার অপেক্ষায় রয় , নগরায়নের ধূসর ধোঁয়ায় যে বিবর্ণ হয়েছে হৃদয় খানি আজ সবুজের এই প্রলেপ লাগিয়ে করবো তার প্রাণময় । পিপীলিকার শুকনো বাসায় চড়ুই পাখি ডাক দিয়ে যায় মহুল ফুলের মাদক গন্ধ পূবালী হাওয়ায় নাক দিয়ে যায় আকাঙ্খা যেখানে গগনস্পর্শী অবকাশ নেই বাক্সে ভরা রোজ সাঁঝেতে ফ্যাকাশে চাঁদ বাঁশের কঞ্চির ফাঁক দিয়ে যায়। নিস্তব্ধতার মধুর কন্ঠে যেখানে উদাসীনতা হারায় গান গোধূলি আকাশে উড়তে থাকে লাল চন্দনের মিষ্টি ঘ্রাণ, নগর থেকে বহুদূরে সাধ করে মন ...