সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভাঙতে ভাঙতে গড়া

মধুসূদন মুখার্জি

এই পৃথিবীর সবকিছু আর কিছু নয়
শুধু ভাঙাগড়া খেলা।
সত্য ত্রেতা ও দ্বাপর ভেঙে
আজ কলিতে ঠেকেছে
শেষ হলে আবার শুরু হবে
প্রথম থেকে সত্যের পথে।
বাল্যকাল যৌবন প্রৌড় শেষ করে
বার্ধ্যক্যে ভাবে এই তো কলি।
পার করে দাও যেমন তেমন
আবার তো সত্যের শুরুতে।
তুমি আমি আমরা সবাই
চলি একই পথে
মাঝখানে পথ বহুদূর
চলে সাথে সাথে
অজানা অচেনা অভিযানে
আমরা সবাই চলি কত যানে।
ক্লান্ত পথিক্ কতো
পড়ে থাকে পিছে।
কেউবা মাটির সাথে মিশে যায়
বহুদিন রাস্তায় পড়ে থাকা গাড়ীর মতো।
গাড়ী ছুটে রাস্তায়
মেঘ ভাসে আকাশে।
সাত সমূদ্র তের নদী পার হয়ে
বাতাসও আমাদের চলার সাথে
মিশে যায় আশেপাশে।
জীবন্ত পৃথিবীর বুক চিরে
ভালবাসা জেগে থাকে
প্রাত্যহিক্ রুটিনের মতো
এর শুরু ও শেষ কবে
জানে না কেউ।

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন

বিভীষণ মিত্রের কবিতা

বিভীষণ মিত্রের কবিতা পুনর্জন্ম বিভীষণ মিত্র আর একবার যদি জন্মাতে পারি, নতুন করে ভালবাসবো তোমাকে। বিভক্ত পথ ছেড়ে আবার চলব একই পথে, যদি তুমি ফিরে আসো ভুল গুলো ভুলে, আকাশের ওপার থেকে মেঘ ছুঁয়ে বৃষ্টি নামাব। জোনাকির ক্ষুদ্র আলো থেকে চাঁদের বৃহৎ জ্যোৎস্না নামাব। নবজাতকের মত পাপশূন্য হয়ে - তোমার মুক্ত হাতে-হাত রাখব। আর একবার যদি জন্মাতে পারি, তোমায় ভালবেসে বাঁচার মত বাঁচব। মোহনা হয়ে নদী,নদী হয়ে সাগর নামাব। সাগরের সুনীল জলরাশি হয়ে তোমার নগ্ন পা ছোঁব। সেই সিক্ত পায়ের শিহরণে- তোমার শিরা-উপশিরায় জানাবো আমার ভালবাসার কথা। যদি ভালবাসি এ কথা বল আমাকে ভুল করে, পরজনমে কৃতদাস হব তোমার ভালবাসার ছায়া তলে।