সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দেবায়ুধ চট্টোপাধ্যায়

১৮ ইঅক্টোবর
একলক্ষ হুলের যন্ত্রনা আর অভিমান পেরিয়ে তোমাকে বলতে চাই ভালোবাসি
অথচ আমার সমস্ত রাগ দুঃখ ক্রোধ আর স্তব্ধতা
ভেতরে জমাট বেঁধে বেঁধে কবেই যেন মেঘ হয়ে গেছে
বৃষ্টি নেই, বিদ্যুৎ নেই, হাওয়া নেই, ঝড় নেই
শুধু নির্মমতায় আমার বর্ষা কেটে যায় বছরের পর বছর মাসের পরে মাস
আমি তোমার  সন্ধানেই শুধু এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তা
মধ্যরাতের একাকিত্ব সম্বল করে চষে ফিরি
না-পাওয়ার সমস্ত অলি-গলি
ক্ষয়াটে চাঁদের দূর্বোধ্য প্রতিরোধে আমি বিদ্রোহের লাশকাটা ঘরের ঠিক পাশে
অপেক্ষা করি মৃত্যুর আর মৃত্য সংক্রান্ত প্রেমের সংবাদের
তোমাকে না দেখে আমার চোখে ঠুলি পড়ে গেছে
আমি ৮বি থেকে দৌড়ই পৃথিবীর নিসঙ্গতম প্রান্তরের কাছে
এঁকে বেঁকে হারিয়ে যাওয়া বালুরিয়া নদীটির কাছে
আর হাত পেতে ভিক্ষে করি ফিরে এসো.. ফিরে এসো
যেভাবে বসন্তে তুমি রুদ্র পলশের নীচে চুম্বনের মত
ভরাট বৈশাখ মাসে কদম বিছানো ফুটপাতে আচমকা সন্ধ্যার মত
এসেছিলে
আমাকে জাগিয়েছিলে যুগান্তরের গভীরতর আশায় আমি
ভালোবাসার সমস্ত অধ্যায় পেরিয়ে অভিমানের সাতকাহন লিখে লিখে
শুধু তোমার কাছেই তবু এ শেষ পাগলামির শেষ কাব্য লিখি।

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন

বিভীষণ মিত্রের কবিতা

বিভীষণ মিত্রের কবিতা পুনর্জন্ম বিভীষণ মিত্র আর একবার যদি জন্মাতে পারি, নতুন করে ভালবাসবো তোমাকে। বিভক্ত পথ ছেড়ে আবার চলব একই পথে, যদি তুমি ফিরে আসো ভুল গুলো ভুলে, আকাশের ওপার থেকে মেঘ ছুঁয়ে বৃষ্টি নামাব। জোনাকির ক্ষুদ্র আলো থেকে চাঁদের বৃহৎ জ্যোৎস্না নামাব। নবজাতকের মত পাপশূন্য হয়ে - তোমার মুক্ত হাতে-হাত রাখব। আর একবার যদি জন্মাতে পারি, তোমায় ভালবেসে বাঁচার মত বাঁচব। মোহনা হয়ে নদী,নদী হয়ে সাগর নামাব। সাগরের সুনীল জলরাশি হয়ে তোমার নগ্ন পা ছোঁব। সেই সিক্ত পায়ের শিহরণে- তোমার শিরা-উপশিরায় জানাবো আমার ভালবাসার কথা। যদি ভালবাসি এ কথা বল আমাকে ভুল করে, পরজনমে কৃতদাস হব তোমার ভালবাসার ছায়া তলে।