সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সমীর রায়চৌধুরী


ছাড়পত্র

জেমস বন্ড... হার ম্যাজেস্টি তোমাকে দিয়েছেন লাইসেন্স টু কিল
আর হরিণাহরিণী তুমি নিজের জোরে অর্জন করেছ
সংহারের মুখোমুখি পলায়ন... শুক্রাচার্য কে তোমাকে
দিয়েছে লাইসেন্স টু রিভাইড... দাম্পত্য কী সহজে
বিষয় থেকে বিষয়হীনতায় চলে যায়... আর প্রেম
যত দিন যায় অনতীত বাল্যে থেকে যায়... লাউকুমড়ো
তুমি ফলন্তের কেন যে ফলের মাথায় ফুল আনো...
কবিতা... তুই অন্যকূটের মেলায় তবু আজও তোর
অন্নচিন্তা চমৎকারা...
প্রতিরোধ... তুমি আছো বলে কলিংবেলটা ডাকছে...
প্রেমিকা... তোমার মর্ষকামী রূপ আমি চিনি তবু
...মাঝরাতে ঘুম ভাঙিয়ে কেন
আমার ধর্ষকামী প্রবণতাকে ডাক দিয়েছিলে...
জ্যামিতি... তুমি আছো বলে অসম সাবলীলায় চিহ্ন
হয়ে আছ...
মাধবী কেবল তোমাকে
জানিয়ে রাখি খিড়কি দোর দিয়ে এলেও আমি
তোমার সেই নলরাজা

মন্তব্যসমূহ

  1. কবিতাটিকে অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। ইদানিং কবিতায় জ্ঞানের পরিসর সীমিত হয়ে এসেছে । বর্তমানে সমীরবাবুই একমাত্র কবি যিনি কবিতাকে একটি নবতম স্তরে উন্নীত করেছেন। তাঁকে আভিনন্দন। এই ব্লগজাইনের সম্পাদককেও ধন্যবাদ জানাই সমীরবাবুর কবিতা নেটে আনার জন্য।
    শংকর সেন

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. শঙ্কর বাবু, মতামত জানানোর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
      সমীর রায়চৌধুরী।

      মুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

প্রভাত চৌধুরীর দুটি কবিতা

১. বালিশ বালিশ দু-রকমের, একটা মাথার, অন্যটি কোলের কোলেরটিকে কেউ কেউ পাশের বলে থাকে তবে দু-ধরণের বালিশ-ই কিন্তু শিমুলতুলো নির্মিত মাথার বালিশের চারটি কোণ আছে কোণ চারটি ৯০ডিগ্রি অর্থাৎ একসমকোণ এর থেকে একটি কথা-ই প্রমাণিত হয় : প্রতিটি সমকোণ-ই ব্যবহার করে একই স্টাইলের টুপি স্টাইল এক হলেও কিন্তু রং আলাদা আলাদা সেসব রং-কথা এখন থাক এখন অপেক্ষা করি ছাতার জন্য বালিশও অপেক্ষা করুক ছাতার জন্য সামনে বর্ষাকাল আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২. চাদর বিছানার জন্য বেড-শিট এবং বেড-কভার দু-প্রকার চাদরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে এদের মধ্যে বেড-কভার কিছুটা মোটা এবং বড়ও আর নরম, কিছুটা মাখনের মতো বেড-শিট এর জন্য় দু-জনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই দুজনেরই নিজ্স্ব আইডি আছে আই প্যাড আছে আছে ময়ুরপালক

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন