সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নাসের হোসেন

পুরো কবিতা পড়তে কবির নাম-এর ওপর ক্লিক করুন ।। হোম পেজ-এ যেত এখানে ক্লিক করুন

audio testing
কবি কন্ঠে কবিতা পাঠ।
২টি কবিতা




বছর দশেক
কত যে ফুল ভেসে বেড়াচ্ছে সমস্ত জায়গাটা
জুড়ে,আহা ওই জলে যদি অবগাহন করা যেত
কিন্তু তা তো সম্ভব নয়, কেননা এটা একটা ছবি
যা সহস্রকাল ধরে মানুষের মনের মধ্যে গেঁথে আছে
এবং মাঝেমধ্যে এটি প্রক্ষেপিত হয় ত্রিমাত্রিক রূপে
এই যে তোমার পুরোনো মাধুরী, কতদিন পর তাকে
দেখতে পেলে,ভাবো, শুধু ভাবাই নয়,কথাও
চালানো যায় কেননা মাধুরী যখন বছর দশেক বয়সের,
কী দারুণ কথা বলতে পারতো,কত কী জানতো সে,
এখনো জানে।

পাতা খসে পড়ছে

এখন কি পাতা খসানোর পালা,ওই তো গাছেরা
তাদের বাকল ছেড়ে দিচ্ছে,পাতা ছেড়ে দিচ্ছে
পাতা ছেড়ে দেওয়ার দৃশ্যটাও সত্যি অদ্ভুত সুন্দর
অনর্গল গাছেদের উপর থেকে নেমে আসছে
শুকনো পাতাদের অবতরণমালা,এবং সে অবতরণ 
নিহিত নিশ্চুপ, তুমি এসময় কথা বলো না,শুধু দ্যাখো
হঠাৎই মনে হল, পাখিরা সব গেল কোথায়,কোন্
দূর দেশে,একটু আগেও তাদের কণ্ঠ
শুনতে পেলাম মনে হল।

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন

বিভীষণ মিত্রের কবিতা

বিভীষণ মিত্রের কবিতা পুনর্জন্ম বিভীষণ মিত্র আর একবার যদি জন্মাতে পারি, নতুন করে ভালবাসবো তোমাকে। বিভক্ত পথ ছেড়ে আবার চলব একই পথে, যদি তুমি ফিরে আসো ভুল গুলো ভুলে, আকাশের ওপার থেকে মেঘ ছুঁয়ে বৃষ্টি নামাব। জোনাকির ক্ষুদ্র আলো থেকে চাঁদের বৃহৎ জ্যোৎস্না নামাব। নবজাতকের মত পাপশূন্য হয়ে - তোমার মুক্ত হাতে-হাত রাখব। আর একবার যদি জন্মাতে পারি, তোমায় ভালবেসে বাঁচার মত বাঁচব। মোহনা হয়ে নদী,নদী হয়ে সাগর নামাব। সাগরের সুনীল জলরাশি হয়ে তোমার নগ্ন পা ছোঁব। সেই সিক্ত পায়ের শিহরণে- তোমার শিরা-উপশিরায় জানাবো আমার ভালবাসার কথা। যদি ভালবাসি এ কথা বল আমাকে ভুল করে, পরজনমে কৃতদাস হব তোমার ভালবাসার ছায়া তলে।