সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কল্পলোকে বাঁচ - অর্পিতা নাহা ঘোষ

কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ। 
কল্পলোকে বাঁচো 


হঠাৎ কেন কিসের জন্য, চলে গেলে বাবা?
আমি তখন সবে দশ, লোকে বলতো বোকা হাবা।
তুমি যেতেই বিপন্নতা চেপে বসলো ভীষণ ভাবে ,
বুঝলাম ইট, বালি, কংক্রিট নয়,
             মেয়েদের ছাঁদ হলো বাবা।

বাবা এভাবে কেন গেলে, না বলে ?
কবে ফিরবে, না জানিয়েই চলে গেলে !
যখন বলতাম, বাবা তুমি কেন এতো কালো?
হেসে বলতে, পাগলী মেয়ে,জানিস না বুঝি;
               কালোই জগতের আলো। 

বাবা, তোমাকে বলা হয়নি
তোমার মনটা ছিল সবচেয়ে ভালো,
আজও তুমি আড়াল থেকে
আলো জ্বালো
এরকমই এক যিশুর জন্মদিনের রাত ছিল সেদিন,
সহস্র কান্নার রোলে ঘুমটা ভেঙে গেল হঠাৎ।
বাইশ বছর হলো,
               বাবা তোমার কোলে উঠিনি,

একথা শুনলে লোকে হাসে ,আমি বড় হয়েছি বলে।
সত্যি কি বাবা বড় হয়েছে তোমার ছোট্ট মা?
এখনো তোমার হাতটা খোঁজে
                 কেউ তা বোঝে না। 

জানি তুমি অন্য দেশে; অন্য কোনো বেশে আছো,
এখনো তুমি স্মৃতির ঘরে কল্পলোকে বাঁচো।
                 বাবা, তুমি বড্ড বাজে বটে

আরও কটা বছর সঞ্চয় করে পারলে না রাখতে,
                  জীবন নামক ঘটে?

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

প্রভাত চৌধুরীর দুটি কবিতা

১. বালিশ বালিশ দু-রকমের, একটা মাথার, অন্যটি কোলের কোলেরটিকে কেউ কেউ পাশের বলে থাকে তবে দু-ধরণের বালিশ-ই কিন্তু শিমুলতুলো নির্মিত মাথার বালিশের চারটি কোণ আছে কোণ চারটি ৯০ডিগ্রি অর্থাৎ একসমকোণ এর থেকে একটি কথা-ই প্রমাণিত হয় : প্রতিটি সমকোণ-ই ব্যবহার করে একই স্টাইলের টুপি স্টাইল এক হলেও কিন্তু রং আলাদা আলাদা সেসব রং-কথা এখন থাক এখন অপেক্ষা করি ছাতার জন্য বালিশও অপেক্ষা করুক ছাতার জন্য সামনে বর্ষাকাল আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২. চাদর বিছানার জন্য বেড-শিট এবং বেড-কভার দু-প্রকার চাদরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে এদের মধ্যে বেড-কভার কিছুটা মোটা এবং বড়ও আর নরম, কিছুটা মাখনের মতো বেড-শিট এর জন্য় দু-জনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই দুজনেরই নিজ্স্ব আইডি আছে আই প্যাড আছে আছে ময়ুরপালক

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন