কালীনারায়ণপুর
রাণাঘাটের পরের স্টেশন কালীনারায়ণপুর,
কলকাতা থেকে বেশ দূর
ছ'টা ছাপ্পান্নর কৃষ্ণনগর লোকাল ট্রেন
স্টেশনে পৌঁছালেই, বিস্ময়াভিভূত হয়ে যেতাম আমি
জলঙগী নদী, তার ওপর ব্রিজ, ঘটাং ঘটাং শব্দ
মনে হতো, চারপাশের মানুষগুলো
হচ্ছে যেন জব্দ
কালীনারায়নপুর নামটা, কেমন যেন গুরু গম্ভীর লাগে
আমি চুপ করে, জানালা দিয়ে মুখ বাড়াই
দেখি, অনেক নীচে নদী, বয়ে যাচ্ছে ছলোছলো শব্দে
তারই ধারে, দেখতাম শ্যামল সবুজ মাখা
একটি এলোমেলো গ্রাম
স্বপ্নালু মন আবিষ্ট হত সেই সব দৃশ্য দেখে,
নিস্পন্দ হয়ে ভাবতাম
কোনো শিল্পীর আঁকা ছবি যেন।
'আমাদের ছোট নদী'র কথা
কেমন যেন মনে পড়ে যায়,
কিংবা ভাবতাম, 'মধুমতী যায় বয়ে যায়'।
সন্ধ্যার চোখ, যেন জমাট বাঁধা আঁধার ছাড়া
আর কিছু নয়
ঘরে ঘরে দ্বীপ জ্বলে, চাঁদ হাসে, মধু জ্যোছনায়।
কি এক অজানা রহস্য ছিল এই কালিনারায়ণপুরে,
কবির তুলিতে আঁকা, প্রকৃতির মমতা মাখা
সে'দিনগুলির কথা
আজও যেন মনে পড়ে যায়।
কালীনারায়ণপুর, আজও কি তেমনই আছো তুমি?
সাতাশ বছর দেখিনা তোমায়, না কি বদলে গেছো
আমার মত, তুমিও !
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন