সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

রিতা বসু

audio testing
কবি কণ্ঠে কবিতা পাঠ 
কালীনারায়ণপুর





রাণাঘাটের পরের স্টেশন  কালীনারায়ণপুর,

কলকাতা  থেকে বেশ  দূর

ছ'টা ছাপ্পান্নর কৃষ্ণনগর লোকাল ট্রেন

স্টেশনে পৌঁছালেই, বিস্ময়াভিভূত হয়ে যেতাম আমি

জলঙগী নদী, তার ওপর  ব্রিজ, ঘটাং ঘটাং শব্দ

মনে হতো, চারপাশের মানুষগুলো

হচ্ছে যেন জব্দ


কালীনারায়নপুর নামটা, কেমন যেন গুরু গম্ভীর  লাগে

আমি চুপ  করে,  জানালা  দিয়ে  মুখ  বাড়াই

দেখি, অনেক  নীচে  নদী, বয়ে যাচ্ছে ছলোছলো শব্দে

তারই ধারে, দেখতাম শ্যামল সবুজ মাখা

একটি এলোমেলো গ্রাম 

স্বপ্নালু মন আবিষ্ট  হত সেই সব  দৃশ্য  দেখে,

নিস্পন্দ  হয়ে  ভাবতাম

কোনো শিল্পীর আঁকা  ছবি যেন

'আমাদের  ছোট  নদী'র কথা

কেমন যেন মনে পড়ে  যায়,

কিংবা ভাবতাম,  'মধুমতী যায় বয়ে যায়'।


সন্ধ্যার চোখ, যেন জমাট বাঁধা আঁধার ছাড়া

আর কিছু নয়

ঘরে  ঘরে  দ্বীপ জ্বলে, চাঁদ  হাসে, মধু জ্যোছনায়।

কি এক অজানা  রহস্য ছিল এই কালিনারায়ণপুরে,

কবির তুলিতে আঁকা, প্রকৃতির মমতা  মাখা

সে'দিনগুলির কথা

আজও যেন মনে পড়ে  যায়।

কালীনারায়ণপুর, আজও  কি তেমনই  আছো তুমি?

সাতাশ বছর  দেখিনা  তোমায়, না কি বদলে গেছো

আমার মত, তুমিও !

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

প্রভাত চৌধুরীর দুটি কবিতা

১. বালিশ বালিশ দু-রকমের, একটা মাথার, অন্যটি কোলের কোলেরটিকে কেউ কেউ পাশের বলে থাকে তবে দু-ধরণের বালিশ-ই কিন্তু শিমুলতুলো নির্মিত মাথার বালিশের চারটি কোণ আছে কোণ চারটি ৯০ডিগ্রি অর্থাৎ একসমকোণ এর থেকে একটি কথা-ই প্রমাণিত হয় : প্রতিটি সমকোণ-ই ব্যবহার করে একই স্টাইলের টুপি স্টাইল এক হলেও কিন্তু রং আলাদা আলাদা সেসব রং-কথা এখন থাক এখন অপেক্ষা করি ছাতার জন্য বালিশও অপেক্ষা করুক ছাতার জন্য সামনে বর্ষাকাল আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২. চাদর বিছানার জন্য বেড-শিট এবং বেড-কভার দু-প্রকার চাদরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে এদের মধ্যে বেড-কভার কিছুটা মোটা এবং বড়ও আর নরম, কিছুটা মাখনের মতো বেড-শিট এর জন্য় দু-জনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই দুজনেরই নিজ্স্ব আইডি আছে আই প্যাড আছে আছে ময়ুরপালক

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন