প্রেমপত্র
ছুঁয়েছি অখণ্ড জল হৃদস্পন্দ পুণ্যস্নাত তাই
কবচ কুণ্ডল স্থানে ভিক্ষাপাত্র সহজাত ছিল
সামান্য সঞ্চয় দেখ তলানির পচা খুদ-কুঁড়ো
পূর্ণ হোক ভিক্ষাভাণ্ড পূর্ণ হোক প্রবল কামনা
অজানিতে কাম্য হয় ফুলে ফেঁপে পূর্ণ পাত্র দ্বারে
প্রজ্ঞালব্ধ দশ দিক সুরময় অমরার পথ
ভিক্ষা শেষে গর্জে ওঠে শূণ্যপাত্র - ‘কিছুই হল না’
বিশ্বময় নিয়মিত রাষ্ট্র,গ্রাম,নগরীর ভেদ
আনুবীক্ষণীয়ভাবে স্থানাঙ্কের কোলে এক ছেদ
সন্ধান চালালে তবে ডুবুরির মত দম নিয়ে
কালের তলায় চাপা সেই গর্ভে নাম পরিচয়
কতটা হবার ছিল ?কাম্য
ছিল কোন বিশ্বরূপ?
দু-আঙুল স্পর্শ সুখে ইথারের পথ খুঁজে নেয়
কোথায় মিলেছে গন্ধ,সুর,তাল
প্রতিধ্বণি কানে
পায়ের তলায় ঘোরে মহাবিশ্ব নিয়ম বন্ধনে
সে বাঁধন আলগা হয়-সে বাঁধন
কণ্ঠে চেপে বসে
খুঁজে নেয় সে সমস্ত সত্যদের জলের তলায়
যে আমি মৃত্যুর আগে বহুদিন ভাসতে চেয়েছি
যে আমি বিষের তেজ ধার্য জানি সহস্র
ছোবলে
যে আমি রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ জন্মসূত্র ক্রমে
যে আমার পরিচয় নবজাত ভিখারি কাঙাল
যেখানে কালের গর্ভে সবকিছু নিমজ্জিত ছিল
তবুও বাস্তব বোধ পরিচয়কামী
তবুও প্রত্যাশা ঘোর মাতালের মত
বিপ্রতীপে রীতি পন্থা
একই দিকে ক্রম অগ্রসর
ফলকে চিহ্নিত হোক কিছু কথা –
অংশ এপিটাফ
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন