সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জয়তী ব্যানার্জি

প্রেমপত্র

ছুঁয়েছি অখণ্ড জল হৃদস্পন্দ পুণ্যস্নাত তাই
কবচ কুণ্ডল স্থানে ভিক্ষাপাত্র সহজাত ছিল
সামান্য সঞ্চয় দেখ তলানির পচা খুদ-কুঁড়ো
 কোনও কথা  মিথ্যা নয় শপথ নিলাম প্রভু ধর্ম অবতার

পূর্ণ হোক ভিক্ষাভাণ্ড পূর্ণ হোক প্রবল কামনা
অজানিতে কাম্য হয় ফুলে ফেঁপে পূর্ণ পাত্র দ্বারে
প্রজ্ঞালব্ধ দশ দিক সুরময় অমরার পথ
ভিক্ষা শেষে গর্জে ওঠে শূণ্যপাত্র - কিছুই হল না

বিশ্বময় নিয়মিত রাষ্ট্র,গ্রাম,নগরীর ভেদ
আনুবীক্ষণীয়ভাবে স্থানাঙ্কের কোলে এক ছেদ
সন্ধান চালালে তবে ডুবুরির মত দম নিয়ে
কালের তলায় চাপা সেই গর্ভে নাম পরিচয়

কতটা হবার ছিল ?কাম্য ছিল কোন বিশ্বরূপ?
দু-আঙুল স্পর্শ সুখে ইথারের পথ খুঁজে নেয়
কোথায় মিলেছে গন্ধ,সুর,তাল প্রতিধ্বণি কানে
পায়ের তলায় ঘোরে মহাবিশ্ব নিয়ম বন্ধনে

সে বাঁধন আলগা হয়-সে বাঁন কণ্ঠে চেপে বসে
খুঁজে নেয় সে সমস্ত সত্যদের জলের তলায়

যে আমি মৃত্যুর আগে বহুদিন ভাসতে চেয়েছি
যে আমি বিষের তেজ ধার্য জানি সহস্র ছোবলে
যে আমি রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ জন্মসূত্র ক্রমে
যে আমার পরিচয় নবজাত ভিখারি কাঙাল

যেখানে কালের গর্ভে সবকিছু নিমজ্জিত ছিল
তবুও বাস্তব বোধ পরিচয়কামী
তবুও প্রত্যাশা ঘোর মাতালের মত
বিপ্রতীপে  রীতি পন্থা একই দিকে ক্রম অগ্রসর


ফলকে চিহ্নিত হোক কিছু কথা 
                                 অংশ এপিটাফ

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন

বিভীষণ মিত্রের কবিতা

বিভীষণ মিত্রের কবিতা পুনর্জন্ম বিভীষণ মিত্র আর একবার যদি জন্মাতে পারি, নতুন করে ভালবাসবো তোমাকে। বিভক্ত পথ ছেড়ে আবার চলব একই পথে, যদি তুমি ফিরে আসো ভুল গুলো ভুলে, আকাশের ওপার থেকে মেঘ ছুঁয়ে বৃষ্টি নামাব। জোনাকির ক্ষুদ্র আলো থেকে চাঁদের বৃহৎ জ্যোৎস্না নামাব। নবজাতকের মত পাপশূন্য হয়ে - তোমার মুক্ত হাতে-হাত রাখব। আর একবার যদি জন্মাতে পারি, তোমায় ভালবেসে বাঁচার মত বাঁচব। মোহনা হয়ে নদী,নদী হয়ে সাগর নামাব। সাগরের সুনীল জলরাশি হয়ে তোমার নগ্ন পা ছোঁব। সেই সিক্ত পায়ের শিহরণে- তোমার শিরা-উপশিরায় জানাবো আমার ভালবাসার কথা। যদি ভালবাসি এ কথা বল আমাকে ভুল করে, পরজনমে কৃতদাস হব তোমার ভালবাসার ছায়া তলে।