সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কানাইলাল জানা

অন্য রকম জীবন

মনে মনে হলেও এক একদিন এক এক রকম জীব বা জড়ো হয়ে
জন্মাই। যেদিন টেবিল হই, সারাদিন পড়ে থাকি নীরবে, চার পায়ের
এই জীবনে চাপ নিতে পারি প্রচুর কিন্তু কেউই দেয় না, থেকে থেকে
কেবল চামচ নাড়ার ঠুনঠুন আওয়াজ...

যেদিন বাস্তুসাপ হয়ে জন্মাই নিজের বাড়ির চারপাশে পাক খেতে খেতে
মাটির গন্ধ, গোবরের গন্ধ, গাছের গন্ধ নিতে নিতে এসে পড়ি জ্ঞাতি শত্রুর
পায়ের কাছে, ছোবল দেব ভাবতেই খেয়াল হল আমি তো বিষধর নই,
নেই বিষদাঁতও...

কিন্তু যখন ইঁদুর হই মাচার ধান খাই বস্তার ধান খাই ধানের মত পাকতে
দেওয়া আতা, সবেদা এবং সবশেষে ঘরের কোনে যত্ন করে রাখা মস্ত এক
কাব্য সংকলন যার কবি মাইকেল থেকে মমতা। কত কবিকে খেলাম মনে পড়তেই
গর্ব করেই ইশ বলে জিভ কাটি...

শেষবার হই স্রেফ ধূপকাঠি। ধূপের ধোঁয়া ও গন্ধে ম ম করছে চারপাশ।
ধোঁয়ার কুণ্ডলীর ভেতর দেখি হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে আছে আমার টেবিল
জীবন, সাপ জীবন ও ইঁদুর জীবন...

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন

বিভীষণ মিত্রের কবিতা

বিভীষণ মিত্রের কবিতা পুনর্জন্ম বিভীষণ মিত্র আর একবার যদি জন্মাতে পারি, নতুন করে ভালবাসবো তোমাকে। বিভক্ত পথ ছেড়ে আবার চলব একই পথে, যদি তুমি ফিরে আসো ভুল গুলো ভুলে, আকাশের ওপার থেকে মেঘ ছুঁয়ে বৃষ্টি নামাব। জোনাকির ক্ষুদ্র আলো থেকে চাঁদের বৃহৎ জ্যোৎস্না নামাব। নবজাতকের মত পাপশূন্য হয়ে - তোমার মুক্ত হাতে-হাত রাখব। আর একবার যদি জন্মাতে পারি, তোমায় ভালবেসে বাঁচার মত বাঁচব। মোহনা হয়ে নদী,নদী হয়ে সাগর নামাব। সাগরের সুনীল জলরাশি হয়ে তোমার নগ্ন পা ছোঁব। সেই সিক্ত পায়ের শিহরণে- তোমার শিরা-উপশিরায় জানাবো আমার ভালবাসার কথা। যদি ভালবাসি এ কথা বল আমাকে ভুল করে, পরজনমে কৃতদাস হব তোমার ভালবাসার ছায়া তলে।