সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

দীপঙ্কর বেরা

আমি নিজেকে ভাঙতে পারি নি

 
আমি নিজেকে ভাঙতে পারি নি 
যেমন ছিলাম তেমনি আছি 
নিজেকে একটুও ভাঙতে পারি নি ।


আমি সম্পত্তির ভাগাভাগিতে লোভ দেখেছি
সেই অধিকার নিয়ে নৃশংসতা দেখেছি
দেখেছি আক্রোশের বশে হাতিয়ে নেওয়ার
ষড়যন্ত্র আর শত্রুতা ।
হিংসায় জ্বলতে থাকা আগুনের লেলিহান
আমার ঘরেও এসে আছড়ে পড়ে ;
কেমন করে যেন একজনের গ্রাস
অন্যজনে তার হক বলে খেয়ে চলে যায় ;
চেয়ার দখলের জন্য কত রকমভাবে
ওরা সব খেলে যায়
জীবন-মৃত্যুর মিউজিক্যাল চেয়ার ।

আমি দেখেছি বারুদের মত চিংগারি দিতে
রাজনীতির ধোঁয়া
আর তাতে জড়িয়ে পড়তে
আমার ভাই আমার চেনা আমার অচেনা ;
কিভাবে রাহাজানি আর শঠতা দিয়ে
নিরীহ গরীব গোবেচারার রক্ত দিয়ে ইমারত তৈরি হয়
সবুজ বাগান-মাঠের অলিতে গলিতে ।

কিন্তু কোথাও আমি একটুও নিজেকে ভাঙতে পারি নি ,
আগে যা ছিলাম এখনও তাই আছি ;
আমি সূর্যকে দেখি রোজ সকালে উজ্জ্বল
প্রাণভরে টেনে নিই সকালের অফুরান অক্সিজেন ,
পাতায় পাতায় ভরা গাছের ডালে
আজও পাখিরা নাচতে নাচতে গান করে ;
তারপর কর্মের উল্লাসে পৃথিবীকে জাগতে দেখে
আমিও লেগে পড়ি আমার জীবন সংগ্রামে ।
আর নিজের শুদ্ধতায় ঘটনাকে বিচার করে
এগিয়ে চলি নির্মল পথে ।
আশায় আছি কোন না কোন দিন
ওই সব আমার দেখা-দের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে
আর সমাজ তোমার আমার সবার মনের মত হবে ।

তাই আমি আজও নিজেকে ভাঙি নি
আগে যেমন ছিলাম এখন তেমনি আছি
আর তেমনি থাকতে তোমাদের হাত
আরো কাছে চাইছি ।
-
-----

মন্তব্যসমূহ

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

প্রভাত চৌধুরীর দুটি কবিতা

১. বালিশ বালিশ দু-রকমের, একটা মাথার, অন্যটি কোলের কোলেরটিকে কেউ কেউ পাশের বলে থাকে তবে দু-ধরণের বালিশ-ই কিন্তু শিমুলতুলো নির্মিত মাথার বালিশের চারটি কোণ আছে কোণ চারটি ৯০ডিগ্রি অর্থাৎ একসমকোণ এর থেকে একটি কথা-ই প্রমাণিত হয় : প্রতিটি সমকোণ-ই ব্যবহার করে একই স্টাইলের টুপি স্টাইল এক হলেও কিন্তু রং আলাদা আলাদা সেসব রং-কথা এখন থাক এখন অপেক্ষা করি ছাতার জন্য বালিশও অপেক্ষা করুক ছাতার জন্য সামনে বর্ষাকাল আরও কবিতা পড়তে ক্লিক করুন এখানে ২. চাদর বিছানার জন্য বেড-শিট এবং বেড-কভার দু-প্রকার চাদরের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে এদের মধ্যে বেড-কভার কিছুটা মোটা এবং বড়ও আর নরম, কিছুটা মাখনের মতো বেড-শিট এর জন্য় দু-জনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই দুজনেরই নিজ্স্ব আইডি আছে আই প্যাড আছে আছে ময়ুরপালক

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন