সংজ্ঞাহীন
এক একটা রাত – এক একটা ছোট ছোট গল্প
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের টুকরো নীল নীল বিছানায়
জড়ো হয়ে পড়েছে আর লেপটে যাচ্ছে।
একটা একটা করে টুকরো গল্প তুলে গালে লাগালাম –
কত যুগ? কত কত যুগ ধরে আমি ভেসে বেড়াচ্ছি
সীমাহীন – সংজ্ঞাহীন – দীশাহীন – লক্ষ্যহীন –
অনুভূতিহীন হয়ে?
একটা ঝটকা লাগল, অনুভূতি! সত্যিই কি আমাদের
কোন অনুভুতি থাকে না?
গভীর, আরও গভীর, অনেক গভীর সমুদ্রের নীচের
রঙিন ম্যাচগুলো যেমন করে নীল, কমলা, লাল
পাতার সঙ্গে ঘসা খেয়ে চলে যাওয়ার সময়
উত্তপ্ত হয়ে শীরশীর করে ওঠে, তেমনই
একটা বোধ হয়! একেই তো অনুভুতি বলে
বলে জানি।
গভীর ভিতর থেকে কেঁপে ওঠা শরীরটা এখন
আর তেমন করে কিছু অনুভব করতে পারে না ঠিকই,
তবে, এখনো কেমন যেন হয়!
আরও অনেকটা অনেকটা পথ এভাবেই ভেসে
বেড়াতে হবে, আমরা সংজ্ঞাহীন, আমিও।
এগিয়ে চলেছি, ভেসে চলেছি, চোখ দুটো তাকিয়ে
আছে দূরে অনেক দূরে বহুদূরের ভেসে আসা
সমস্ত রং আর অরংয়ের দিকে –
আমার উপস্থিতি বুঝতে পারে না তারা,
দেখতে পায় না – অনুভব করতে পারে না,
অনুভব করতে পারে না আমায়,
সেদিন – ভোঁর চারটে হবে –
হঠাৎ দেখি, দুটো তিমি গভীর সুখ প্রেমে আল্পুত
হয়ে এক শরীরের রূপ নিয়ে ভেসে বেরাচ্ছে
নুড়ি পাথরের উপর দিয়ে।
তখনও শিরশির করে উথেছিল আমার এই –
এই শরীরটা ।
এই তো গত বছর পূজর সময় বাড়ি ফিরছি –
ওমা, রাস্তার মধ্যিখানে সমস্ত মানুষের গলার
জল শুকিয়ে মাথার ঘাম ছুটিয়ে তেনারা
দুজনে দিব্যি লেজের মাথায় ভর দিয়ে সোজা
আকাশ ধারার ভান করে দীর্ঘ চুম্বনে মত্ত হয়ে আছেন।
আমি এখনো বেশ অনেকটা কাছ থেকে ওদের
ভালোলাগাকে অনুভব করতে লাগলাম।
অনুভব করল আমার এই শরীরটাও।
আমরা সংজ্ঞাহীন – আমি ও।
আবার ভেসে বেড়াচ্ছি, একরাশ ভালোবাসা নিয়ে,
আমি সংজ্ঞাহীন – আমি সংজ্ঞাহীন ।।
এক একটা রাত – এক একটা ছোট ছোট গল্প
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের টুকরো নীল নীল বিছানায়
জড়ো হয়ে পড়েছে আর লেপটে যাচ্ছে।
একটা একটা করে টুকরো গল্প তুলে গালে লাগালাম –
কত যুগ? কত কত যুগ ধরে আমি ভেসে বেড়াচ্ছি
সীমাহীন – সংজ্ঞাহীন – দীশাহীন – লক্ষ্যহীন –
অনুভূতিহীন হয়ে?
একটা ঝটকা লাগল, অনুভূতি! সত্যিই কি আমাদের
কোন অনুভুতি থাকে না?
গভীর, আরও গভীর, অনেক গভীর সমুদ্রের নীচের
রঙিন ম্যাচগুলো যেমন করে নীল, কমলা, লাল
পাতার সঙ্গে ঘসা খেয়ে চলে যাওয়ার সময়
উত্তপ্ত হয়ে শীরশীর করে ওঠে, তেমনই
একটা বোধ হয়! একেই তো অনুভুতি বলে
বলে জানি।
গভীর ভিতর থেকে কেঁপে ওঠা শরীরটা এখন
আর তেমন করে কিছু অনুভব করতে পারে না ঠিকই,
তবে, এখনো কেমন যেন হয়!
আরও অনেকটা অনেকটা পথ এভাবেই ভেসে
বেড়াতে হবে, আমরা সংজ্ঞাহীন, আমিও।
এগিয়ে চলেছি, ভেসে চলেছি, চোখ দুটো তাকিয়ে
আছে দূরে অনেক দূরে বহুদূরের ভেসে আসা
সমস্ত রং আর অরংয়ের দিকে –
আমার উপস্থিতি বুঝতে পারে না তারা,
দেখতে পায় না – অনুভব করতে পারে না,
অনুভব করতে পারে না আমায়,
সেদিন – ভোঁর চারটে হবে –
হঠাৎ দেখি, দুটো তিমি গভীর সুখ প্রেমে আল্পুত
হয়ে এক শরীরের রূপ নিয়ে ভেসে বেরাচ্ছে
নুড়ি পাথরের উপর দিয়ে।
তখনও শিরশির করে উথেছিল আমার এই –
এই শরীরটা ।
এই তো গত বছর পূজর সময় বাড়ি ফিরছি –
ওমা, রাস্তার মধ্যিখানে সমস্ত মানুষের গলার
জল শুকিয়ে মাথার ঘাম ছুটিয়ে তেনারা
দুজনে দিব্যি লেজের মাথায় ভর দিয়ে সোজা
আকাশ ধারার ভান করে দীর্ঘ চুম্বনে মত্ত হয়ে আছেন।
আমি এখনো বেশ অনেকটা কাছ থেকে ওদের
ভালোলাগাকে অনুভব করতে লাগলাম।
অনুভব করল আমার এই শরীরটাও।
আমরা সংজ্ঞাহীন – আমি ও।
আবার ভেসে বেড়াচ্ছি, একরাশ ভালোবাসা নিয়ে,
আমি সংজ্ঞাহীন – আমি সংজ্ঞাহীন ।।
বেশ লাগল
উত্তরমুছুনবেশ লাগল
উত্তরমুছুন