সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অর্পিতা নাহা ঘোষ

স্মৃতির হাতটা তুলে রেখো

এখনো তোমায় স্বপ্নে দেখি জানি বলা মানা,
পর হয়েছো তুমি এখন ভালোই আছে জানা,
এখনো করে বুক দূরু দূরু স্মৃতির স্রোতে ভাসি,
ভুলবো না তোমাকে হয়তো যখন আমি আশি,
হাত বাড়ালেই পারবোনা ছুতে কাছে তুমি কই?
দেখা হবে তোমার আমার সেই আশাতেই রই,
ঝড় উঠবেই ভীষণ ঝড় কথা হবে যখন
সময়ও কিন্তু থমকে গিয়ে অবাক হবে তখন
অশ্রু সজল বাধ ভাঙ্গবে প্লাবন আসবে যখন
আমার জন্য একটু সময় রেখো কিন্তু তখন
আনচান করছে শরীর মন করছে উড়ু উড়ু ,
জানিনা কবে কোথায় কখন হল এসব শুরু,
দীশা হারিয়ে, প্রাণ ভরিয়ে, রাখছি মন সড়িয়ে,
তবুও কেন আষ্টেপৃষ্টে আছো তুমি জড়িয়ে?
অব‍্যক্ত আছে কত কিছু, কত কিছু লিখিনি,
সবশেষে বলছি শুধু ভুলতে আমি শিখিনি,
কল্পনাতে অবয়ব তোমার জগৎটাকে দেখেনি,
আমার মতো বাসতে ভালো সবাই কিন্ত শেখেনি,
সাত সমুদ্র পেরিয়ে আমার মনটা যায় সরে
দুঃখ নেই তোমার সঙ্গে বিলীন হতে মরে
যখন যাবো অনেক দূরে দেখো একটু মেপে
স্মৃতির হাতটা তুলে রেখো তখন বুকে চেপে

              

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

বাংলা সাহিত্য : জনপ্রিয় কবিতাগুলো পড়ুন

শুভাগত রায়

audio testing  শুনুন কবি-কন্ঠে কবিতা পাঠ : সুসং দুর্গাপুর রোদ এসে পড়ে সোনা ধানখেতে সারি সারি কত আম কাঁঠালের গাছ সোনালী রোদ মাখে নদীর জল আদুরে জল স্ফটিক স্বচ্ছ কাঁচ।

কাজল সেনের কবিতা

রাতের শেষ ট্রেন কাজল সেন ঠান্ডাঘরে বসে টানা কমপিউটারে কাজ করে যারা নির্ঘাত তাদের ঘাড়ব্যথা হাতব্যথা স্পন্ডেলাইটিস অথচ আমাদের ক্লাবের তুখোড় সেন্টার ফরোয়ার্ড গান্ধী মন্ডল সারাটা মাঠ জুড়ে ড্রিবলিং ট্যাকেলিং পাসিং খেলে আজ অষ্টিও আর্থারাইটিসে পুরোপুরি শয্যাশায়ী ইদানীং আর কোনো উৎপাতেই জাগে না মন ঘোড়ার দানাপানি থেকে টয়েটো গাড়ির পেট্রল উন্মুক্ত ডাইনিং টেবিলে রাখা পিৎজা বা বার্গার রাতে স্বল্পাহারের পর স্বল্প মদ্যপান দোয়াতের কালি আজকাল আর কেউ ব্যবহার করে না ডটপেনে চিঠি লেখাও বন্ধ হয়ে গেছে বহুদিন সেই যে কবে কতদিন আগে গোলপোস্টে শেষবারের মতো দাঁড়িয়েছিলেন দীর্ঘদেহী পিটার থঙ্গরাজ আর রঞ্জিক্রিকেটে শূন্য রানে ক্যাচ তুলে শেষবারের মতো কীনান স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়নে ফিরেছিলেন পঙ্কজ রায় আর তো হবে না এ জীবনে নতুন পয়সার লেনদেন শুধু প্রতীক্ষায় আছি কবে টাটানগর ছেড়ে রওয়ানা হবে রাতের শেষ ট্রেন

বিভীষণ মিত্রের কবিতা

বিভীষণ মিত্রের কবিতা পুনর্জন্ম বিভীষণ মিত্র আর একবার যদি জন্মাতে পারি, নতুন করে ভালবাসবো তোমাকে। বিভক্ত পথ ছেড়ে আবার চলব একই পথে, যদি তুমি ফিরে আসো ভুল গুলো ভুলে, আকাশের ওপার থেকে মেঘ ছুঁয়ে বৃষ্টি নামাব। জোনাকির ক্ষুদ্র আলো থেকে চাঁদের বৃহৎ জ্যোৎস্না নামাব। নবজাতকের মত পাপশূন্য হয়ে - তোমার মুক্ত হাতে-হাত রাখব। আর একবার যদি জন্মাতে পারি, তোমায় ভালবেসে বাঁচার মত বাঁচব। মোহনা হয়ে নদী,নদী হয়ে সাগর নামাব। সাগরের সুনীল জলরাশি হয়ে তোমার নগ্ন পা ছোঁব। সেই সিক্ত পায়ের শিহরণে- তোমার শিরা-উপশিরায় জানাবো আমার ভালবাসার কথা। যদি ভালবাসি এ কথা বল আমাকে ভুল করে, পরজনমে কৃতদাস হব তোমার ভালবাসার ছায়া তলে।